১. পটভূমি ও বর্তমান পরিস্থিতি
জুন ২০২৫-এ ইজরায়েল “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামক পরিকল্পনায় ইরানের নিউক্লিয়ার স্থাপনা এবং উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায় ।
ইরান তৎক্ষণাৎ জবাবে ইজরায়েলের শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা করে, যা তেল আভিবে মৃত্যু-ক্ষতি ঘটায় ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজরায়েলকে হামলার আগে সতর্ক করেছিলেন, এবং পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে ভেবে নিজের G7 শীর্ষ সম্মেলন বাতিল করে ওয়াশিংটনে ফিরে আসছিলেন ।
২. ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য কৌশল: কেন বিপর্যয় ঘটছে?
শান্তিচুক্তির দৃষ্টিভঙ্গি: ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের সাথে পুনরায় নিউক্লিয়ার চুক্তি করার ইচ্ছা ছিল, যা তিনি “দূরদর্শী সমঝোতা” হিসেবে দেখেন ।
ইজরায়েলের একতরফা হামলা: ইজরায়েলের হামলা পরিকল্পনার ঘোষণা না করেই করা এবং শিগগিরই উত্ক্রান্ত হওয়ার ফলে ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যাহত হয় ।
ঘরের রাজনীতির চাপ: ট্রাম্পের “অ্যামেরিকা ফার্স্ট” শরিক এবং স্কেপিউল করা এটি মার্কিন জনগণের মধ্যে এক ভাগ্যবাদী সমর্থনের সৃষ্টি করলেও, আঞ্চলিকভাবে যুদ্ধে দেড়ানোর ঘটনায় তার অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক কৌশল বিপর্যস্ত হয়েছে ।
৩. ফলে কী হচ্ছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ: একদিকে ট্রাম্প ইজরায়েলকে সমর্থন জানালেও, একই সঙ্গে তারা হামলার বিষয়ে সম্মতি দেয়নি—ফলে এমন দুই মিত্রের মাঝে তার কূটনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ে ।
শান্তি আলোচনার সম্ভাবনায় জল ঢেউ: নির্দিষ্ট সময় যৌথ আলোচনা চালানো সম্ভব ছিল না; ইজরায়েলের আকস্মিক হামলার ফলে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সমাধানের পরিকল্পনা স্থবিরতা গৃহীত হয়েছে ।
যুদ্ধবিরোধী কংগ্রেস প্রতিক্রিয়া: মার্কিন কংগ্রেসের এমন দাবী রয়েছে যে ট্রাম্প যাতে কংগ্রেসের অনুমতি না নিয়ে কোনো সামরিক ঘটনা শুরু না করেন; এই যোগসূত্রে মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োজিত হওয়া কঠিন হয়ে উঠছে ।
৪. ভবিষ্যতের দৃশ্যপট
ট্রাম্প এখন একদিকে নিউক্লিয়ার সমঝোতার দরজায় আরও এক “আজীবন চুক্তি” মোকাবেলার প্রস্তাব রেখেছেন, অন্যদিকে ইজরায়েলের সামরিক এজেন্ডাকে সমর্থন করছেন—ফলে মধ্যপ্রাচ্য শান্তিতে তার দৃষ্টিভঙ্গির বৈপ্লবিকতা দৃশ্যমান ।
যদিও তার প্রচারণায় কূটনৈতিক আলোচনায় মানুষের স্বার্থ রয়েছে বলে দাবি রয়েছে, তার উপরই একতরফা যুদ্ধের ফলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
—
ইজরায়েলের ইরান হামলা স্পষ্টভাবে ট্রাম্পের কূটনৈতিক পরিকল্পনাকে ব্যাহত করেছে। শান্তিমুখী আলোচনার মই থেকে তাকে সরিয়ে এনে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অপ্রয়োজনীয় দায়বদ্ধ অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। ট্রাম্পের ভাবনা “দুৈত কৌশলে”—একদিকে চুক্তির প্রস্তাব অন্যদিকে সামরিক সহায়তা—এখন দুই পথেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে আছে।