বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার নানা প্রান্তে এক অস্থির রাজনৈতিক বাস্তবতা বিরাজ করছে। একদিকে দ্রুত আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের উদ্যোগ, অন্যদিকে সেই আইনের অপপ্রয়োগ বা একতরফা প্রয়োগের ঝুঁকি—এই দ্বৈত বাস্তবতা নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের চিন্তাশীল নাগরিকরা বলছেন, “আইন সংস্কার হওয়া দরকার, কিন্তু সেটা যেন এমনভাবে হয় যাতে আর ফ্যাসিবাদ না গড়ে ওঠে।”
আইনের প্রয়োজন ও প্রেক্ষাপট
কোনো রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য কার্যকর আইন প্রয়োজন। তবে সেই আইন যদি হয় ক্ষমতার হাতিয়ার—নাগরিককে দমন করার অস্ত্র—তাহলে তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার অপরাধ দমন আইন ইত্যাদির প্রণয়ন এবং প্রয়োগ অনেক ক্ষেত্রেই উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
আইন সংস্কার কেন জরুরি?
প্রযুক্তি, সামাজিক চেতনা ও রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আইন সংস্কার অপরিহার্য। তবে এটি হতে হবে জনঅংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, এবং মানবাধিকারভিত্তিক। মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্যদের একজন বলেন,
“আমরা এমন আইন চাই যা অপরাধ দমন করবে, কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করবে না।”
ফ্যাসিবাদের বিপদ
ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠে তখনই, যখন রাষ্ট্রীয় আইন ব্যবহৃত হয় বিরোধী মতকে দমন করতে, নাগরিকদের পর্যবেক্ষণে রাখতে এবং ভয় সৃষ্টি করে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, গণতান্ত্রিক চেহারার আড়ালে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব জন্ম নিলে আইনই হয়ে ওঠে দমনযন্ত্র।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ এক সেমিনারে মন্তব্য করেন,