[ প্রবন্ধ মিডিয়া ] | ঢাকা | ২৮ মে ২০২৫
জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার দুপুরে শুরু হয়েছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীতে নির্মিত মঞ্চ ঘিরে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
🔴 ১৫ লাখ তরুণের প্রত্যাশিত উপস্থিতি
আয়োজকদের দাবি, ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ এই সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীতে সমবেত হয়েছেন। বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে মিছিলের মাধ্যমে আগত নেতা-কর্মীরা সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের ক্যাপ ও টি-শার্ট পরে অংশগ্রহণ করেন এবং দলীয় স্লোগানে নয়াপল্টনের রাজপথ মুখরিত করে তোলেন।
🧭 নেতৃত্বের অংশগ্রহণ ও বক্তব্য
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। আয়োজকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে বিএনপির রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা এবং ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
খন্দকার মোশাররফ হোসেন
ড. আবদুল মঈন খান
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
🗣️ ‘গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন’—মাহাদী আমিন
তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন,
“আমরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছি। আজ নয়াপল্টনে দেখা যাচ্ছে জনতার ঢল, যা একটি গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তরুণরা ভোটাধিকার চায়, চায় ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, তার বাস্তবায়ন ঘটবে।”
📅 তারুণ্য-কেন্দ্রিক ধারাবাহিক কর্মসূচি
সমাবেশটি ছিল বিএনপির তরুণভিত্তিক তিন সংগঠনের মাসব্যাপী কর্মসূচির চূড়ান্ত আয়োজন। মে মাসজুড়ে আটটি সেমিনার ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, ফরিদপুর ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে। আয়োজকদের মতে, এটি কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং একটি আদর্শিক ও রাষ্ট্রচিন্তার প্রয়াস, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রগঠনে তরুণদের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
🚧 যানজট ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি
সমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টন ও আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে, যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। তবে যানবাহন বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে।
🧾 উপসংহার
‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ শুধু একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি তরুণ প্রজন্মের অগ্রজ হয়ে ওঠার একটি প্রতীক। নয়াপল্টনের রাজপথে তরুণদের ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে, বর্তমান ও ভবিষ্যতের রাজনীতিতে তরুণরাই হয়ে উঠছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী শক্তি। গণতন্ত্র, নেতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের জন্য তাদের এই আকাঙ্ক্ষা দেশের রাজনীতিকে একটি নতুন গন্তব্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে।