খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাময়িক বহিষ্কৃত কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার দুপুরে কুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলাকালেই এ সিদ্ধান্ত আসে।
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। একই সময়, ক্যাম্পাসের বাইরের একজন ব্যক্তি ২২ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরু করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২১ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনে বসে। প্রথম দিনেই ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন, যার মধ্যে পাঁচজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
তদন্ত কমিটি গঠন
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অস্থিরতা তদন্তে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা কুয়েট ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার আন্দোলন চলছে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে।