| চট্টগ্রাম | ২৮ মে ২০২৫
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে “এক বিন্দুও আপস করা হবে না”—এমন দৃপ্ত ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে (বিএমএ) ৮৮তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
🔶 ‘বন্ধুত্ব সবার সঙ্গে, আপস নয় সার্বভৌমত্বে’
এয়ার চিফ মার্শাল বলেন,
“বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’। কিন্তু স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসের কোনো জায়গা নেই। এই বিশ্বাসেই আমাদের প্রতিটি কর্মকর্তা ও সদস্যকে প্রস্তুত হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বের জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধ এবং অপ্রথাগত হুমকির বিপরীতে বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
🔶 দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নবীন অফিসাররা
অনুষ্ঠানে ১৫৫ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন, যাদের মধ্যে ১২৮ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী এবং ৪ জন ফিলিস্তিনের অফিসার রয়েছেন। কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটরা অনুষ্ঠানেই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ নেন।
🔶 সেরা ক্যাডেটদের সম্মাননা
অনুষ্ঠানে তিনজন ক্যাডেটকে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়—
সম্রাট জাবির পেয়েছেন ‘সোর্ড অব অনার’
মো. আব্দুল ওয়াদুদ মাসুম পেয়েছেন ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’
ফিলিস্তিনের মোহাম্মদ ইস পেয়েছেন ‘বিএমএ ট্রফি অব এক্সিলেন্স’
🔶 বাহিনীর আধুনিকায়ন ও অগ্রগতি
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন,
“নন-ট্র্যাডিশনাল থ্রেটসহ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সব হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী আজ নির্ভরযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান। আধুনিক অস্ত্র, প্রযুক্তি ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন আন্তর্জাতিক মানে একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।”
🔶 আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও গণমানুষের আস্থা
রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, নবীন অফিসারদের অভিভাবকগণ ও বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণ কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের পেশাগত জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়, যেটি কেবল একটি চাকরির নয়, বরং দেশের জন্য আত্মত্যাগ ও দায়িত্ব পালনের এক গৌরবময় যাত্রা।
✍️ উপসংহার
আজকের কুচকাওয়াজে বিমানবাহিনী প্রধানের বক্তৃতা কেবল একটি সামরিক বার্তা নয়—এটি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতির অঙ্গীকারের প্রতিধ্বনি। নতুন প্রজন্মের অফিসারদের শপথের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়, দেশের নিরাপত্তা ভবিষ্যতেও থাকবে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রিত, আত্মবিশ্বাসী ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ