| ঢাকা | ২৮ মে ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। একইসাথে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার বিএনপির যুব ও ছাত্র সংগঠন আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তিনি এই বক্তব্য দেন।
🔶 নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করলেন তারেক
তারেক রহমান বলেন—
“অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আবারও বলছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আর কোনো বিলম্ব জনগণ মানবে না। নির্বাচনকে ঘিরে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সময়মতো ভোট আয়োজন জরুরি।
🔶 জনগণের সঙ্গে সংযোগের আহ্বান
বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন—
“জনগণের কাছে যান, তারা কী বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনুন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।”
এই আহ্বানে স্পষ্ট, বিএনপি আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মাঠপর্যায়ের সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করতে চায়।
🔶 তারুণ্যের শক্তিতে রূপান্তরের বার্তা
‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’-এর লক্ষ্য ছিল তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও সক্রিয়তা বাড়ানো। এ নিয়ে তারেক রহমান বলেন—
“এই তরুণ প্রজন্মই আগামী বাংলাদেশের চালিকাশক্তি। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।”
তিনি দাবি করেন, তরুণরা এখন পরিবর্তনের জন্য উদগ্রীব, আর বিএনপি সেই পরিবর্তনের প্ল্যাটফর্ম হতে চায়।
🔶 নির্বাচনের বার্তা, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, তারেক রহমানের এই বক্তব্যে সংঘাতের আহ্বান নয়, বরং নির্বাচনের পথে একটি রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। এটি একদিকে যেমন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল, অন্যদিকে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখার প্রচেষ্টা।
✍️ উপসংহার
তারেক রহমানের বক্তব্যে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের দুইটি দিক স্পষ্ট— এক, চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান নির্বাচনই, দুই, জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নামতে হবে নেতাকর্মীদের। ডিসেম্বরের সময়সীমা নির্ধারণ করে তিনি একদিকে সরকারকে বার্তা দিয়েছেন, অন্যদিকে নিজের দলকেও নতুনভাবে সংগঠিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এখন দেখা যাক, এই বক্তব্য কতটা বাস্তব প্রতিফলন ঘটায় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।