নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হালিমকে জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরপরই জেল গেট থেকে আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ (বুধবার) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এই পুনঃগ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জামিন, মুক্তি ও তাৎক্ষণিক গ্রেফতার
সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতার এক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মো. আব্দুল হালিম। আদালত থেকে জামিন পেয়ে বুধবার দুপুরে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। তবে মুক্তির ঠিক পর মুহূর্তেই জেল গেট থেকে তাকে আবারও আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পুলিশের অবস্থান
নেত্রকোনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন:
“মো. হালিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি একটি মামলায় জামিন পেলেও অন্য মামলায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ।”
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর তদন্ত চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় পরিস্থিতি
মো. হালিমের এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বারহাট্টা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হয়রানি’ বলে উল্লেখ করছেন।
বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন,
“তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েই আবার আটক করা অন্যায়। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়।”
তবে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপট
মো. আব্দুল হালিম দীর্ঘদিন ধরে বারহাট্টা উপজেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ও জনপ্রিয় একজন নেতা। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে তার সক্রিয় উপস্থিতি এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তাকে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। বিরোধী পক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা উত্তেজনার জের ধরেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানায়।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরপরই একজন রাজনৈতিক নেতাকে পুনরায় গ্রেফতার করার ঘটনাটি নেত্রকোনার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একদিকে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয় থাকলেও, অন্যদিকে রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।